ধোলাবিরা গুজরাটের কাছে অবস্থিত। এখানে 1400 বছর ধরে একটি হরজীর নগরের অস্তিত্ব ছিল। আর এস বিল্ট খননকার্য চালিয়ে বলেন যে, এখানে 2900-1000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে ধোলাবিরা একটি নগর হিসেবে বিরাজ করেছিল এবং এখান থেকে একটি সভ্যতার আদ্যন্ত কাহিনি জানা সম্ভব হয়েছে। ধোলাবিরার সর্বাপেক্ষা বিস্ময়কর স্থাপত্য এর দুর্গ। একটা দরজায় পাওয়া গেছে 10টি হরপ্পালিপি সংবলিত একটা ‘সাইনবোর্ড’। জনবসতির বাইরে পাওয়া গেছে একটি সমাধিভূমি এবং একটি খোলা স্টেডিয়াম। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ মনে করেন ধোলাবিরার অধিবাসীরা যথেষ্ট বিত্তবান ছিল। তাদের সম্পদের উৎস ছিল তামা, দামি পাথর, মশলা ইত্যাদি পণ্যদ্রব্যের বাণিজ্য। এইসব জিনিসের বিদেশে বিশেষত মেসোপটেমিয়াতে ভালো চাহিদা ছিল। আর এস বিল্ট মনে করেন, এই নগরের তৃতীয় পর্যায়ে হরপ্পা থেকে একজন লোক এসে দুর্গ নির্মাণ করে। ফলে নগরের আয়তন বাড়ে। সুপরিকল্পিতভাবে তৈরি হয় বসতি এলাকা ও রাস্তাঘাট। দুর্গের আয়তনও বৃদ্ধি পায়। এই পর্বটিই হল ধোলাবিরার স্বর্ণযুগ। এই পর্যায় থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে মুৎশিল্পের নিদর্শন, সীলমোহর এবং অলংকার।