তথ্য প্রযুক্তি এবং সাইবার অপরাধ কি? সংজ্ঞা, প্রকার ও প্রতিরোধের উপায় | What is information technology and cyber crime? Definition, types and methods of prevention

প্রযুক্তি এবং ইন্টানেট ব্যবহার করে মানুষ বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত হচ্ছে, যার মধ্যে সাইবার অপরাধ অন্যতম। ফেসবুক, ইমেইল, টুইটার এবং ওয়েবসাইট ইত্যাদি ব্যবহার করে সাইবার অপরাধ সংগঠিত হয়। অনলাইনে সচেতন না থাকলে এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার না জানলে, আপনিও সাইবার অপরাধের স্বীকার হতে পারেন।

এই আর্টিকেলে, আমরা সাইবার অপরাধ কি? এর বিভিন্ন প্রকার, এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

সাইবার অপরাধ কি ?

সাইবার ক্রাইম (Cyber crime) একটি অপরাধমূলক কার্যকলাপ যা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে সংগঠিত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে যেসব অপরাধ সমূহ হয়, তাকে সাইবার অপরাধ বলা হয়।

সাইবার অপরাধের মধ্যে রয়েছে হ্যাকিং, অনলাইন জালিয়াতি, ম্যালওয়্যার ছড়ানো, সাইবার বুলিং, অনলাইনে প্রতারণা ইত্যাদি।

সাইবার অপরাধের প্রকারভেদ

সাইবার অপরাদের বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে রয়েছে। যেমন,

১. হ্যাকিং (Hacking): অন্যের কম্পিউটার সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কে অননুমোদিত অ্যাক্সেস।

২. ফিশিং (Phishing): প্রতারণামূলক ইমেল বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা।

৩. অনলাইন জালিয়াতি (Online fraud): ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।

৪. রেনসামওয়্যার (Ransomware): এটি এমন একটি ম্যালওয়্যার যা একজন ভিকটিম এর ফাইল এনক্রিপ্ট করে এবং ডিক্রিপশন কী এর বিনিময়ে পেমেন্ট দাবি করে।

৫. পরিচয় চুরি (Identity theft): ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা। যেমন, সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য।

৬. ক্রিপ্টোজ্যাকিং (Cryptojacking): সম্মতি ছাড়াই, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইন করতে কারও কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করা।

৭. ম্যালওয়্যার (Malware): এটি কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কের ক্ষতি করার জন্য ডিজাইন করা সফ্টওয়্যার।

সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায় :

সাইবার অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। যেমন-

•আপনার সকল অনলাইন অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী এবং অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।

•অপরিচিত ইমেল, টেক্সট মেসেজ এবং সোশ্যাল মিডিয়া মেসেজ থেকে সতর্ক থাকা।

•ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোকে আপ টু ডেট রাখা।

•ডিভাইসগুলোকে ম্যালওয়্যার এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার থেকে রক্ষা করতে অ্যান্টি-ভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা।

•অজানা লিঙ্কে ক্লিক বা ফাইল ডাউনলোড করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

•ডেটা এবং ব্রাউজিং সুরক্ষিত করতে ইন্টারনেটে সংযোগ করার সময় ভিপিএন (VPN) ব্যবহার করা।

•পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকা এবং পাবলিক নেটওয়ার্কে ব্যাঙ্কিং বা ব্যক্তিগত তথ্যের মতো সংবেদনশীল তথ্য অ্যাক্সেস করা এড়িয়ে চলুন।

•গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এবং ডেটা নিয়মিত ব্যাক আপ রাখুন।

•অযাচিত ফোন কল, ইমেল বা বার্তা থেকে সতর্ক থাকুন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

en_USEnglish
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading