বিভক্তি কাকে বলে ?
যে সব বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি শব্দ বা ধাতুর শেষে সংযুক্ত হয়ে অর্থপ্রকাশ করে ,সেই সব বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিকে বিভক্তি বলে । যেমন – কে ,রে ,এর ইত্যাদি
বিভক্তি কত প্রকার ও কি কি ?
বিভক্তিকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।যথা : শব্দ বিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি ।
প্রতি প্রকার বিভক্তির তিনটি করে উদাহরণ-
বাংলা ভাষায় প্রধানত আটটি বিভক্তি রয়েছে। প্রতিটি বিভক্তির তিনটি করে উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
- কর্তৃবিভক্তি (সুবিচারক কে নির্দেশ করে)
- রাম গোলাপ ফুল পছন্দ করে।
- বাবা বাজারে গিয়েছিলেন।
- রানী রান্না করছে।
- কর্মবিভক্তি (কর্ম বা উদ্দেশ্য নির্দেশ করে)
- রাহুল বই পড়ছে।
- সুমি চিঠি লিখেছে।
- অমিত খাবার খেয়েছে।
- করনবিভক্তি (যার দ্বারা কিছু করা হয় তাকে নির্দেশ করে)
- সে কলম দিয়ে লিখছে।
- রাম চাবি দিয়ে দরজা খুলছে।
- তারা পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
- সম্প্রদানবিভক্তি (কোনো কিছুর প্রাপককে নির্দেশ করে)
- আমি তোমাকে বইটি দেব।
- রীতা রোহিতকে চিঠি পাঠিয়েছে।
- সে শুভ্রকে উপহার দিয়েছে।
- অপাদানবিভক্তি (যেখানে থেকে কিছু আসে তা নির্দেশ করে)
- সে গ্রাম থেকে এসেছে।
- তারা কলকাতা থেকে ফেরত এসেছে।
- আমি স্কুল থেকে ফিরলাম।
- অধিকরণবিভক্তি (যা দ্বারা বা যেখানে কিছু ঘটে তা নির্দেশ করে)
- সে মিছিলে যোগ দিল।
- আমি ক্লাসে মনোযোগ দিচ্ছি।
- সে বিছানায় ঘুমাচ্ছে।
- সম্বন্ধবিভক্তি (সম্পর্ক নির্দেশ করে)
- রাম রাহুলের বন্ধু।
- এই বই রীতার।
- এই চিঠি আমার জন্য।
- অব্যয়বিভক্তি (কোনো কিছুর সাথে সাপেক্ষ নির্দেশ করে)
- সে অসহায় হয়ে গেছে।
- রাহুল সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফেরে।
- আমি দেখেই চিনতে পারলাম।
এই প্রতিটি বিভক্তির উদাহরণ বাংলার ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী দেওয়া হলো।