ছোটগল্পের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
১. ছোটগল্পের সাইজ বা দৈর্ঘ্য বা শব্দ সংখ্যা: এডগার অ্যালান পোয়ের মতে ছোটগল্প হবে ৭,৫০০ শব্দ থেকে ২০,০০০ শব্দের মধ্যে। এই তথ্যটি পো তার ‘The Philosophy of Composition’ (দ্য ফিলোসফি অফ কম্পোজিশন) গ্রন্থে উল্লেখ করেছেলিন।
২. ছোটগল্পের চরিত্র সংখ্যা: ছোটগল্পের চরিত্র সংখ্যা হবে সর্বনিম্ন দুই এবং সর্বোচ্চ পনের।
৩. ছোটগল্পের পর্বের সংখ্যা হবে দুই অথবা তিন।
বিষয়বস্তু অনুসারে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
বিষয়বস্তু অনুসারে রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন –
ক) সমাজ সমস্যামূলক গল্প ‘দান-প্রতিদান’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘ছুটি’, ‘হৈমন্তী’, ‘পুত্রযজ্ঞ’, ‘পোস্ট মাস্টার’, ‘কর্মফল’, ‘কাবুলিওয়ালা’ প্রভৃতি।
খ) প্রেমমূলক গল্প – ‘একরাত্রি’, ‘মাল্যদান’, ‘মহামায়া’, ‘সমাপ্তি’, ‘মধ্যবর্তিনী’, ‘নষ্টনীড়’ প্রভৃতি।
গ) নিসর্গ ও মানব সম্পর্কিত গল্প ‘অতিথি’, ‘বলাই’, ‘মেঘ ও রৌদ্র’, ‘আপদ’ প্রভৃতি।
ঘ) অতিপ্রাকৃত গল্প ‘গুপ্তধন’, ‘জীবিত ও মৃত’, ‘কঙ্কাল’, ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘নিশিথে’, ‘মণিহারা’ প্রভৃতি
রবীন্দ্রনাথের লেখা তিনটি ছোটগল্পের নাম লেখো।
দান-প্রতিদান’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘ছুটি’
কবিতা বলতে কী বোঝো?
কবিতা কাকে বলে ?
কবিতা, কাব্য বা পদ্য হচ্ছে শব্দ প্রয়োগের ছন্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাস যা একজন কবির আবেগ, অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তা করার সংক্ষিপ্ত রূপ এবং তা অত্যাবশ্যকীয় ভাবে উপমা উৎপ্রেক্ষাাপ চিত্রকল্পের সাহায্যে আন্দলিত সৃষ্টির উদাহরণ।
সংলাপ কাকে বলে? সংলাপের ভাষা কেমন হওয়া উচিত?
দুই বা ততােধিক ব্যক্তির পারস্পরিক কথােপকথনকে সংলাপ বলা হয় । প্রাত্যহিক জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত একে অপরের সাথে কথা বলি । লক্ষ করলে দেখতে পাব এর অধিকাংশ কথাই বিচ্ছিন্ন ও অসম্পূর্ণ এবং যথাযথ শব্দ প্রয়ােগ বা বাক্য বিন্যাস সুসংহত নয় । কিন্তু লিখিত সংলাপে বিচ্ছিন্ন বা অসম্পূর্ণ বাক্য কাম্য নয়। তাকে শুধু ভাষাগত সম্পূর্ণতা দান করলেই হবে না, অর্থগত পূর্ণতাও দিতে হবে
কবিতার চিত্রকল্প কী?
কবিতার চিত্রকল্প
কী আছে এই বইয়ে? আছে চিত্রকল্প বিষয়ক অনুসন্ধান। কবিতার দেহ ও আত্মার বিশ্লেষণ। প্রায় সকলেই স্বীকার করেন চিত্রকল্প কবিতার প্রাণ। সাধারণ শিক্ষার্থী ও পাঠক, বিশেষ করে তরুণ কবি যারা কবিতা লেখেন, বইটি পড়ে উপকৃত হবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।
কবি কথা বলেন শব্দ দিয়ে ছবি এঁকে এঁকে। কবির শব্দ-তুলিতে আঁকা ছবিই চিত্রকল্প। কবির আনন্দ, বেদনা, ভাবনা, পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা, পঠন—সবকিছুই তাঁর কবিতায় দ্রবীভূত হয়। কবির সংবেদনের গভীরতার স্তরে লুকিয়ে থাকে অভিজ্ঞতার নির্যাস ও সৃষ্টিশীল অভীপ্সা। এই অভিজ্ঞতা ও অভীপ্সা যখন অসাধারণ শব্দচিত্রের মাধ্যমে কবিতায় বহুমাত্রিক বোধ উৎপন্ন করতে সক্ষম হয় তখনই তাকে চিত্রকল্প বলে অভিহিত করা হয়। কবিতার চিত্রকল্প অভিনবত্ব, প্রণোদনা ও ইন্দ্রিয়জাগরূক গুণে সহৃদয় পাঠকের চিত্তকে সহসা চমকিত, আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।
তাৎক্ষণিক বক্তব্যের কয়টি অংশ ও কী কী?
তাৎক্ষণিক বক্তব্য চারটি অংশ ১. ভূমিকা (Introduction), ২. মূল বিষয় (Main Content), ৩. উপসংহার (Conclusion), ৪. প্রতিক্রিয়া (Response)
চিত্রকাব্য বলতে কোন্ ধরনের কবিতাকে বোঝায়?
চিত্রকাব্য এমন একটি কবিতাকে বোঝায় যা কাব্যিক ভাষায় একটি দৃশ্য, চিত্র বা কাহিনী নির্মাণ করে। এতে কবি প্রাকৃতিক দৃশ্য, সামাজিক ঘটনা, অথবা জীবনযাপনের ছবি শব্দের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। চিত্রকাব্যে সাধারণত রঙ, আকার, ও বর্ণনার মাধ্যমে একটি চিত্রমান অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করা হয়। এই কবিতা পাঠককে একটি দৃশ্য কল্পনা করতে সহায়তা করে এবং কাব্যিক অনুভূতি বা ভাবনা প্রকাশের জন্য চিত্রকলা ও দৃশ্যের রূপক ব্যবহার করে। উদাহরণ হিসেবে, কবি জসীম উদ্দীনের “নকশি কাঁথার মাঠ” কবিতাটি একটি গ্রামীণ দৃশ্যের চিত্র তুলে ধরে।
কবিতায় কাব্যসৌন্দর্য বিচারে অলংকারের গুরুত্ব অতি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
কবিতায় কাব্যসৌন্দর্য বিচারে অলংকারের গুরুত্ব অপরিসীম। অলংকার কবিতার ভাষায় সৌন্দর্য, গভীরতা ও অনুভূতির এক নতুন মাত্রা যোগ করে। বিভিন্ন ধরনের অলংকার—যেমন, উপমা, রূপক, অনুপ্রাস, প্রতীকি ভাষা—কবির ভাবনাকে আরও প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করে তোলে। উপমা বা রূপক শব্দের সৃজনশীল ব্যবহার কাব্যের মর্মকে তুলে ধরে, অনুপ্রাস ও ছন্দ কবিতার শ্রুতিমাধুর্য বাড়ায়। অলংকারের মাধ্যমে কবি পাঠকের অনুভূতি জাগিয়ে তোলেন এবং ভাবনার গভীরতা বৃদ্ধি করেন। এজন্য অলংকার কবিতার কাব্যিক সৌন্দর্য সৃষ্টি ও পাঠকের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে অপরিহার্য।
উদাহরণ:
•উপমা: “চাঁদের মতো মিষ্টি হাসি”
• রূপক: “জীবনের রঙিন ক্যানভাস”
সংলাপ বলতে কী বোঝো? নাটকের সংলাপ কেমন হওয়া উচিত?
সংলাপ হলো নাটকে চরিত্রদের মধ্যে কথোপকথন, যা কাহিনীর অগ্রগতি ও চরিত্রের গভীরতা প্রকাশ করে। নাটকের সংলাপ হওয়া উচিত স্বাভাবিক, বাস্তবসম্মত, এবং চরিত্রের মনোভাবের প্রতিফলনকারী। এটি নাটকের গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়, চরিত্রের অনুভূতি, মতামত, ও সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটায়।
সংলাপের বিশেষত্ব:
• প্রাঞ্জল ভাষা: সহজ ও বোঝার উপযোগী ভাষায় লেখা উচিত।
•চরিত্র-ভিত্তিক: চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে হবে।
• মধ্যস্থতা: গল্পের মূল দিক ও নাটকের থিম পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, নাটকের সংলাপ যেমন:
চরিত্র ১: “তুমি আজ কেন এত চিন্তিত?” চরিত্র ২: “আমি জানি না, সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে না মনে হচ্ছে।”
তাৎক্ষণিক বক্তব্যে তথ্যের গুরুত্ব কতখানি অতি সংক্ষেপে লেখো।
তাৎক্ষণিক বক্তব্যে তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। তথ্য বক্তব্যের মূল ভিত্তি তৈরি করে এবং বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিত করে। সঠিক ও প্রাসঙ্গিক তথ্য বক্তার পেশাদারিত্ব প্রতিস্থাপন করে এবং শ্রোতাদের আস্থার উৎস হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত, ও সঠিক তথ্য প্রদান করে বক্তা বিষয়বস্তু পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন এবং শ্রোতাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হন।
তথ্য ব্যবহারের মাধ্যমে বক্তা বিষয়বস্তু প্রমাণিত করেন ও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দেন, যা বক্তৃতাকে প্রভাবশালী ও আকর্ষণীয় করে তোলে।
উদাহরণ:
“আজকের বিষয় হল জলবায়ু পরিবর্তন। সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, গ্লোবাল তাপমাত্রা প্রতি বছর ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ছে।”