ANS- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যের পত্রগুলি বিষয়গতভাবে প্রধানত দুটি শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা যায়:
- প্রেম ও অভিমানমূলক পত্র – উদাহরণ: দ্রৌপদীর পত্র।
- বেদনা ও ত্যাগমূলক পত্র – উদাহরণ: সীতার পত্র।
প্রত্যেক পত্রে নারীচরিত্রের গভীর অনুভূতি ও মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন প্রকাশিত হয়েছে।
Q2. ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ও একাদশ সংখ্যক পত্রের নাম এই কাব্যে ক’টি পত্র লেখার পরিকল্পনা করেছিলেন?
ANS- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও একাদশ পত্রের নাম যথাক্রমে:
- দ্বিতীয় পত্র: সুর্পণখার পত্র।
- চতুর্থ পত্র: কুন্তীর পত্র।
- একাদশ পত্র: যশোদার পত্র।
কবির পরিকল্পনা ছিল মোট বারোটি পত্র লেখার, তবে তিনি এগারোটি পত্র রচনা করেন।
Q3. ‘আজি তার মাতা দেখে নাই তারে।’- কোন্ কবিতার অংশ? কবিতাটির রচনাকাল উল্লেখ করো। এখানে ‘তারে’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
ANS- উক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “তালগাছ” কবিতা থেকে নেওয়া। কবিতাটি ১৮৯৪ সালে রচিত।
এখানে ‘তারে’ বলতে বোঝানো হয়েছে তালগাছকে, যা তার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকলেও নিঃসঙ্গ এবং অবহেলিত। এটি প্রকৃতির নিস্তব্ধতা ও তালগাছের একাকীত্বকে তুলে ধরে।
(ঘ) ‘সে ছিল তোমারি ছায়া- তোমারি প্রেমের মায়া!’- কোন্ গ্রন্থের, কোন্ পর্বের, কত সংখ্যক কবিতার অংশ এটি?
ANS- উক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “গীতাঞ্জলি” গ্রন্থের অংশ। এটি “গীতাঞ্জলি”-র ৬৩তম কবিতার অন্তর্ভুক্ত।
এই কবিতায় জীবনের অসীমতাকে মানুষের চেতনায় ধরা দেওয়ার একটি আধ্যাত্মিক উপলব্ধি ব্যক্ত হয়েছে। “তোমারি ছায়া” বলতে ঈশ্বরের প্রেমের অমর রূপ বোঝানো হয়েছে।
(ঙ) ‘এষা’ কাব্যের কবিতাগুলিকে ক’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে? যে-কোনো দু’টি পর্বের উল্লেখ করে প্রতিটি পর্বে ক’টি করে কবিতা আছে উল্লেখ করো।
ANS- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “এষা” কাব্যের কবিতাগুলি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই তিনটি ভাগ হলো:
- আহ্বানপর্ব
- গমনপর্ব
- প্রত্যাবর্তনপর্ব
দুটি পর্বের উল্লেখ:
- আহ্বানপর্ব: এই পর্বে রয়েছে ৮টি কবিতা।
- গমনপর্ব: এই পর্বে রয়েছে ১২টি কবিতা।
প্রত্যেকটি পর্বে রবীন্দ্রনাথ মানবচেতনার বিভিন্ন দিক এবং আত্মিক অন্বেষণের পথচলাকে চিত্রিত করেছেন।
(চ) ‘বৈষ্ণব কবিতা’ কোথায় অবস্থানকালে রচিত হয়েছিল? এই কবিতার রচনাকালসহ কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তা’ উল্লেখ করো।
ANS- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বৈষ্ণব কবিতা” শিলাইদহে অবস্থানকালে রচিত হয়েছিল।
রচনাকাল: ১৮৮৬ সাল।
প্রকাশকাল: এটি প্রথম ১৮৮৬ সালে “ভারতী” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এই কবিতায় বৈষ্ণব ভাবধারার প্রেম ও ভক্তির গভীর অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়, যা রবীন্দ্রনাথের শৈল্পিক বৈচিত্র্যের উদাহরণ।