বাঙলা শব্দভাণ্ডারের বিভিন্ন প্রকার শব্দের শ্রেণী নিয়ে আলোচনা কর।

বাঙালি ভাষায় শব্দভাণ্ডার বিশেষভাবে বিভক্ত হয় বিভিন্ন শ্রেণিতে। এই শব্দভাণ্ডার বিভাগগুলি ভাষার ব্যবহার, বা ভাষা ক্ষেত্রের মধ্যে বিশেষ অবস্থান এবং ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দের শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে: ১. বানান শ্রেণী: এই শ্রেণিতে শব্দগুলি বানানের দিকে গম্য হয়। এই শ্রেণিতে আসবে স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণের সমন্বয়ে এমন শব্দগুলি, যা বাক্যে একক … বিস্তারিত পড়ুন

বাঙলা লিপির সঙ্গে অন্যান্য ভারতীয় লিপির কোন সম্পর্ক আছে কিনা আলোচনা কর।

বাঙালি লিপি ও অন্যান্য ভারতীয় লিপির মধ্যে কিছু সম্পর্ক আছে, এটি বিশেষভাবে ইতিহাস, ব্যক্তিত্ব, এবং ভাষার প্রকৃতি দেখে স্পষ্ট। ১. ভাষার সম্পর্ক: বাঙালি লিপি, অথবা বাঙালি ভাষায় ব্যবহৃত লিপি, একটি আবিষ্কৃত এবং উন্নত লিপি হিসেবে পরিচিত। এটি বিশেষভাবে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাঙালি লিপির মৌলিক রূপ দেখা যায় দ্বিদশ শতাব্দীর মধ্যে, অর্থাৎ প্রাচীন … বিস্তারিত পড়ুন

ব্যঞ্জনধ্বনির সংজ্ঞা সহ শ্রেণিবিভাগের পরিচয় দিন।

ব্যঞ্জনধ্বনি শব্দের উৎপত্তি “ব্যঞ্জন” ও “ধ্বনি” দুটি শব্দ থেকে। ব্যঞ্জন (Consonant): বাংলা ভাষায় শব্দের অংশ হিসেবে এমন বর্ণ যা স্বরবর্ণের সাথে যোগযোগ্য নয়, তাদেরকে ব্যঞ্জন বর্ণ বলা হয়। যেমন – ক, খ, গ, ঘ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ড, ঢ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, … বিস্তারিত পড়ুন

‘তপস্বী ও তরঙ্গিণী’ নাটকের মূল আখ্যান সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লিখুন।

“তপস্বী ও তরঙ্গিণী” নাটক হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মহাকাব্য নাটক, যা তিনি ১৯২৬ সালে রচনা করেছেন। এই নাটকে তিনি সাধারণ সমাজ ও মানবজীবনের প্রসারমূলক একটি চিত্রণ করেছেন। নাটকটির মূল আখ্যান সংক্ষেপে নিচে দেওয়া হলো: “তপস্বী ও তরঙ্গিণী” নাটকের কাহিনী প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা ও তার ধার্মিক পরম্পরার চেতনার চিরকালকে নিয়ে। নাটকের মুখ্য চরিত্র হলো তপস্বী, যে … বিস্তারিত পড়ুন

‘বলাকা’ কাব্যের অন্তর্গত ‘শঙ্খ’ কবিতার মর্মার্থ লিখুন।

‘বলাকা’র কবিতাগুলি রচনার সূচনা ১৩২১ সালের ১৫ই বৈশাখ (১৯১৪) শান্তিনিকেতনে, শেষ কবিতা লেখা হয় কলকাতায় ৯ই বৈশাখ ১৩২৩ (১৯১৬) এবং গ্রন্থাকারে প্রকাশ (মে, ১৯১৬)। মূলপাঠের কবিতাটির (৪নং) রচনা, ১২ই জ্যৈষ্ঠ ১৩২১ রামগড়ে এবং এটি আষাঢ়ের ‘সবুজপত্র’-এ প্রকাশিত হয়। কবি এ সময় জ্যৈষ্ঠ মাসে হিমালয়ের রামগড়ে। তাঁর মনে দারুণ অশান্তি ও বেদনাভার। একমাত্র অ্যান্ড্রুজ এ খবর … বিস্তারিত পড়ুন

‘মানুষের ধর্ম’ গ্রন্থ অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক মননের পরিচয় তুলে ধরুন।

‘রিলিজিয়ন অব ম্যান’ বা মানুষের ধর্ম নিয়ে হিববার্ট লেকচার  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩০ সালের মে মাসে ম্যানচেস্টার কলেজ, অক্সফোর্ডে প্রদান করেছিলেন। তিনি যে ধারণাগুলি উপস্থাপন করেছিলেন তা ছিল তাঁর বহু বছরের চিন্তার চূড়ান্ত পরিণতি। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব দ্বারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং তিনি  শারীরিক বিবর্তনকে অতিক্রম করে আধ্যাত্মিক বিবর্তন যথা ব্যক্তি মানবতার সীমা অতিক্রম … বিস্তারিত পড়ুন

‘মানুষের ধর্ম’ প্রবন্ধগ্রন্থ অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথের মানবতাবোধের পরিচয় দিন।

‘মানুষের ধর্ম’ বইতে রবীন্দ্রনাথ মানুষের ভিতর দুরকম ধর্মের অস্তিত্বের কথা বলেছেন। প্রথমটি নিতান্ত প্রাকৃতিক তথা জৈব ধর্ম, যে-ধর্মে শারীরিক প্রয়োজনই সব। মানুষের পূর্বপুরুষ অতীতকালে চার হাত-পায়ে চলাফেরা করেছে। উবু হয়ে চলবার কালে তাদের দৃষ্টি কেবল নিচের দিকেই নিবদ্ধ থেকেছে। তার পরে এক সময়ে মানুষ যখন চলাফেরার কাজ থেকে হাত দুটো মুক্ত করে উঠে দাঁড়াতে পেরেছে, … বিস্তারিত পড়ুন

‘যোগাযোগ’ উপন্যাসের গঠনশৈলী আলোচনা করে দেখান।

উপন্যাস সমাজ জীবনের দর্পন। সামাজিক মানুষ উপন্যাসের পাতায় যখন উঠে আসে তখন তার সামগ্রিকতা নিয়েই আসে। ব্যাক্তিমানুষের সামাজিকতা, পারিবারিকতা ও মানস অনুভব সৎ উপন্যাসের পাতায় যেমন করে প্রত্যক্ষ করা যায়, সুবৃহৎ সমাজের বহুকাল ব্যাপী প্রেক্ষাপটে তাকে প্রত্যক্ষ করা সাধারনের পক্ষে অসম্ভব। এমন কি অসাধারণ ব্যক্তির পক্ষেও সর্বাবস্থায় তার সুযোগ ঘটেনা। শিল্পীমন বহুযুগের বহুমানুষের মন-মানস মিলিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

বলাকা’ একটি গতিবাদের কাব্য- আপনাদের পাঠ্য কয়েকটি কবিতা অবলম্বনে বিষয়টি আলোচনা করুন।

বাংলা সাহিত্যের দিগন্ত বিস্তারী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। কাব্যসম্ভারে বিষয় এবং আঙ্গিকে তিনি নবযুগের ¯্রষ্টা। তিনি বার বার নিজেকে বদলে ফেলেছেন, লেখায় এনেছেন নতুনত্ব। তবে তাঁর লেখা একটি ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তাঁর পরিচয় তাই সামগ্রিকতায়; যেন নদীর স্রোত বয়ে চলেছে-কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থাকে বলা যাবে না যে ‘এই রবীন্দ্রনাথ’। বলাকা … বিস্তারিত পড়ুন

‘যোগাযোগ’ উপন্যাসের কুমুদিনী চরিত্র

কাদম্বরীকে নিয়ে ভাবতে গিয়েই কোন কুমুদিনীর কথা স্মরণে এল। যদিও কাদম্বরী বাস্তব চরিত্র আর কুমুদিনী কেবলই রবিবাবুর একটি সৃষ্ট চরিত্র। এবং যদিও এ দুজনের স্বভাব, চরিত্র, বিচার, বিস্তার, প্রভাব সবই একেবারে ভিন্ন ধর্মী তবুও রবি ঠাকুরের কথা চিন্তা করলেই বা কাদম্বরীর কথা এলেই আমার কুমুদিনীকে বেশ মনে পড়ে। কুমুদিনী হলেন রবি ঠাকুরের “যোগাযোগ” উপন্যাসের নায়িকা। … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress