আজীবনব্যাপী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
আজীবনব্যাপী শিক্ষার লক্ষ্যে জ্যাক ডেলরসের নেতৃত্বে ইউনেস্কো কমিশনের প্রতিবেদনে (Learning throughout life: Challenges for the twenty-first century 1996) বলা হয়েছে, একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা হল জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। শিক্ষার ব্যাপ্তি সমগ্র জীবনব্যাপী হওয়ার পিছনে পাঁচটি প্রয়ােজনের উল্লেখ করা যায়।
[1] পরিবর্তনশীল জীবন : আধুনিক জীবন পরিবর্তনশীল। বর্তমানে প্রযুক্তির এবং তথ্য পরিবর্তনের যুগের সঙ্গে সার্থক অভিযােজনের জন্য প্রয়ােজন হল নিরবচ্ছিন্ন বা প্রবহমান শিক্ষা, যা জীবনব্যাপী শিক্ষার পক্ষেই সম্ভব।
[2] বৃত্তি জগতের পরিবর্তন : প্রযুক্তির উন্নতি, নতুন দ্রব্যের উৎপাদন, উৎপাদনের নতুন কৌশল এবং নতুন জ্ঞান বৃত্তি জগতে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বর্তমান বৃত্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন প্রকৃতির শিক্ষার প্রয়ােজন যা জীবনব্যাপী শিক্ষাব্যবস্থার সাহায্যে অর্জন করা সম্ভব।
[3] সামাজিক পরিবর্তন : দ্রুত সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য জীবনব্যাপী শিক্ষার বিশেষ প্রয়ােজন।
[4] সমাজের দুর্বল অংশ : সমাজের দুর্বল অংশের শিক্ষার চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে জীবনব্যাপী শিক্ষাব্যবস্থা সাহায্য করে।
[5] জনসংখ্যার চরিত্রের পরিবর্তন : আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবসর গ্রহণের বয়স ষাট বছর। সমীক্ষায় দেখা গেছে, এদের মধ্যে অনেকেই কর্মক্ষম। এদের কর্মক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতা জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহার করা যায়। তবে এর জন্য প্রয়ােজন সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। জীবনব্যাপী শিক্ষা এ ব্যাপারে সহযােগিতার হাত প্রসারিত করে।