আশাপূর্ণা দেবীর ‘ইজ্জত’ গল্পে সুমিত্রা চরিত্রটি এক প্রতিবাদী নারী হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। বাসন্তীর মেয়ে জয়ীর বিপদগ্রস্ত অবস্থায় সুমিত্রা তাকে আশ্রয় দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তার স্বামী মহীতোষ এতে বাধা দেয়। এই ঘটনায় সুমিত্রার মনে সমাজের প্রতিবাদের সুর জেগে ওঠে.
সুমিত্রার চরিত্রটি মূলত নিম্নলিখিত দিকগুলো দিয়ে চিত্রিত হয়েছে:
• প্রতিবাদী মানসিকতা:
সুমিত্রা সমাজের প্রচলিত ধারণা ও কঠোর নিয়ম-কানুনকে ভেঙে এক জন সাধারণ মেয়ের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল। মহীতোষের বাধা সত্ত্বেও সে জয়ীকে আশ্রয় দিতে চেয়েছিল, যা তার প্রতিবাদী মানসিকতাকে প্রকাশ করে.
• সহানুভূতিশীলতা:
সুমিত্রা বাসন্তীর মেয়ের বিপদজনক অবস্থার প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। সে জয়ীকে আশ্রয় দিতে এবং তার জীবন বাঁচাতে চেয়েছিল.
• স্বামীর প্রতি আনুগত্য:
সুমিত্রা তার স্বামীকে সম্মান করে, কিন্তু সমাজের নিয়ম-কানুন ও তার স্বামীর কঠোরতার কারণে সে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে চলতে বাধ্য হয়.
• সাধারণ গৃহবধূর প্রতিচ্ছবি:
সুমিত্রা একজন সাধারণ গৃহবধূ, যিনি নিজের সংসার এবং পরিবারের প্রতি মনোযোগ দেন। কিন্তু তার মধ্যে সমাজের প্রতিবাদের সুরও বিদ্যমান.
“ইজ্জত” গল্পে সুমিত্রা চরিত্রটি একটি শক্তিশালী এবং জটিল চরিত্র। সে একদিকে সমাজের প্রচলিত নিয়ম-কানুনকে মেনে চলতে বাধ্য, অন্যদিকে তার মনে সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী भावना জাগে। এই দুই বিপরীতমুখী শক্তির সংমিশ্রণে সুমিত্রা চরিত্রটি এক অনন্য রূপ লাভ করে |