গঠন অনুযায়ী বাক্যের প্রকারভেদ করে এদের পারস্পরিক সম্পর্ক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করো।

গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা- (১) সরল বাক্য (২) যৌগিক বাক্য (৩) জটিল বাক্য।

[১] সরল বাক্য: যে বাক্যে উপস্থিত বা উহ্য একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন—
•(১) বিরাট ব্যাট করছে।
•(২) আমার নাম শচীন।
১নং বাক্যের সমাপিকা ক্রিয়াটি হল ‘করছে’ এবং ২নং বাক্যের উহ্য সমাপিকা ক্রিয়াটি হল ‘হয়’। তাই এ দুটি বাক্য হল সরল বাক্য।

[২] যৌগিক বাক্য: একাধিক সরল বাক্য যখন স্বাধীন অর্থপ্রাধান্য অক্ষুন্ন রেখে উপস্থিত বা উহ্য এক বা একাধিক সংযােজক অব্যয়ের দ্বারা মিলিত হয়ে একটি মাত্র বাক্য গঠন করে, তখন সেই বাক্যকে যৌগিক বাক্য বলা হয়। যেমন—
(১) আমরা পুরী যাব এবং কোনারকের মন্দির দেখব।
(২) তুহিন তাড়াতাড়ি গেল কিন্তু বাসটা পাবে না।
(৩) খােকা ঘুমােলাে, পাড়া জুড়ােলাে।

১নং বাক্যে এবং সংযােজক অব্যয়ের দ্বারা এবং ২নং বাক্যে কিন্তু সংসােজক অব্যয়ের দ্বারা প্রতিক্ষেত্রে দুটি করে স্বাধীন বাক্য একটি যৌগিক বাক্যের আকার ধারণ করেছে। আবার দ্যাখাে ৩নং বাক্যে কোনাে সংযােজক অব্যয় নেই অথচ দুটি স্বাধীন বাক্য পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যৌগিক বাক্যের রূপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে বিরামচিহ্ন কমা (,) সংযােজক অব্যয়-এর ভূমিকা নিয়েছে বা সংযােজক অব্যয় উহ্য থেকে স্বাধীন বাক্য দুটি যৌগিক বাক্যের রূপ লাভ করেছে।

[৩] জটিল বাক্য: একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য দ্বারা যে বাক্য গঠিত হয়, তাকে বলে জটিল বাক্য। সতরাং প্রতিটি জটিল বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান বা আশ্রিত বা অধীন খণ্ডবাক্য থাকে। যেমন—
(১) বারান্দা থেকে দেখলাম যে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।
(২) তুমি যদি হাস, তাহলে আমি রেগে যাব।

উপরের দুটি বাক্যে স্বাধীন খণ্ডবাক্য দুটি হল যথাক্রমে—
বারান্দা থেকে দেখলাম || তাহলে আমি রেগে যাব
আর মূল বাক্য দুটির অধীন খণ্ডবাক্য দুটি হল যথাক্রমে —যে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে || তুমি যদি হাস

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading