‘গোধন’
ঋগ্বৈদিক যুগে জীবিকা হিসেবে কৃষির পরেই ছিল পশুপালন। এই যুগে গোসম্পদকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হত, তাই গোসম্পদকে বলা হত গোধন। গোসম্পদ ও কৃষিজমি দখলের জন্য আর্যদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই থাকত। গোরুর মালিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য গোরুর কান চিহ্নিতকরণ করা হত।
গোবুকে মূল্যের একক এবং পণ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হত, গোরুর সংখ্যার ভিত্তিতে সম্পত্তির পরিমাপ করা হত। ঘোড়া রথ চালনা ও যুদ্ধের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনীয় ছিল বলে ঘোড়াকে প্রায় গোরুর সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হত।