প্রাচীন উত্তরবঙ্গে নারীর ভূমিকা
প্রাচীন উত্তরবঙ্গের গ্রামের মেয়েদের মধ্যে যে সামাজিক রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠানের দেখা পাওয়া যেত, আধুনিক উত্তরবঙ্গের নারীদের মধ্যেও মোটামুটি সেই আদর্শ এখনও বর্তমান। লক্ষ্মীর মতো কল্যাণী, বসুন্ধরার মতো সর্বসংহা, পাতিব্রত্য অঞ্চলে নারীত্বই ছিল প্রধান আদর্শ। স্ত্রী হবেন বন্ধুর মতো এবং স্বামীর ইচ্ছাস্বরূপিনী। অর্থাৎ প্রাচীন উত্তরবঙ্গে নারী-পুরুষের বৈষম্য একটি সাধারণ বিষয় ছিল। তবে ধনী পরিবারের নারীদের অবস্থান গরীবদের চেয়ে অনেক ভালো ছিল। বর্ণপ্রথার কারণে অসবর্ণ বিবাহ সমাদৃত ছিল না। সমাজের সাধারণ নিয়ম ছিল নারী-পুরুষের একটিমাত্র বিয়ে করা। তবে ব্রাহ্মণদের মধ্যে ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায়। কিন্তু বিধবা জীবন নারীদের জন্য অভিশাপ হিসেবে ছিল। অভিজাত পরিবারের মেয়েরা লেখাপড়া করত। সাধারণতভাবে গৌড়ে নারীদের ‘মৃদুভাষিণী’, ‘অনুরাগবর্তী’ বলা হত। রাজপরিবারের মেয়েরা স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করতে পারত না, ঘোমটা বা অবগুন্ঠন তাদের ক্ষেত্রে অবধারিত ছিল। কিন্তু হতদরিদ্র নারীদের শারীরিক শ্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হত। তাই তাদের মধ্যে অবগুষ্ঠনের প্রচলন ছিল না। স্ত্রীলোকরা এন্ডির কীট প্রতিপালন করত এবং তার গুটি থেকে সূত্র প্রস্তুত করতেন। পূর্ব কামরূপের গৃহস্থ ঘরের বধু ও কন্যাগণ বস্তুবয়ন কার্যে পারদর্শী ছিলেন। প্রাচীন ভারতের পুরুষশাসিত সমাজের মতো উত্তরবঙ্গের সমাজও সম্পূর্ণভাবে
পুরুষশাসিত ছিল। কিন্তু সমাজের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে নারীসমাজ পুরোপুরি জড়িয়ে ছিল। একথা বলা যায় যে, পুরুষের ছত্রছায়ায় থেকেও নারীরা তাদের নিজস্ব সত্তাকে বজায় রাখতে পেরেছিল। তারই প্রকাশ পাওয়া যায় ব্রতকথা, বিভিন্ন স্ত্রী আচার এবং পূজাপার্বণে। মূলত নারীদের প্রথম জীবন কাটে পিতার ছত্রছায়ায়, যৌবন কাটে স্বামীর অধীনে এবং বৃদ্ধাবস্থা কাটে পুত্রের তত্ত্বাবধানে। সাধারণত প্রাচীন উত্তরবঙ্গের সমাজের নারীরা ছিল কম শিক্ষিত। সমৃদ্ধ পরিবারগুলিতে খানিকটা নারীশিক্ষার প্রসার যদিও ছিল, দরিদ্র পরিবারগুলিতে মেয়েরা অশিক্ষার অন্ধকূপেই নিয়োজিত ছিল বলা চলে। সমসাময়িক নারীজীবনের আদর্শ ও কামনা লিপিমালায় সুস্পষ্ট ব্যক্ত হয়েছে রামায়ণ, মহাভারত ও পৌরাণিক বিচিত্র নারীচরিত্রের সঙ্গে সমসাময়িক নারীদের তুলনায় এবং প্রাসঙ্গিক উল্লেখের মধ্য দিয়ে। সমসাময়িক কামরূপ শাসনাবলিতেও এই ধরনের
তুলনাগত উল্লেখ সুপ্রচুর। মেয়েদের সমগোত্রের মধ্যেই বিবাহ হত তবে, ভালোবাসার বিবাহের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যেত। মেয়েরা বিবাহের পর কপালে ও সিথিতে সিঁদুর পড়ত। স্বামীর মঙ্গল কামনাই ছিল তাদের ধ্যানজ্ঞান। মাতার কামনা ছিল শূদ্র নিষ্কলঙ্ক সন্তানের জননী হওয়া। নারীরা কখনো-কখনো সম্পন্ন অভিজাতগৃহে শিশূধাত্রীর কাজ করতেন। জীমূতবাহনের ‘দায়ভাগ’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, নারীরা প্রয়োজন হলে সুতা কাটা, তাঁত বোনা অথবা অন্য কোনো শিল্পকর্ম করে স্বামীদের উপার্জনে সাহায্য করতেন।
মেয়েরা শুধু কষ্টসহিষুই নয়, অন্যান্য নারীসুলভ গুণও তাঁদের মধ্যে ছিল। নানা কাজের মাঝেও মেয়েরা সময় করে সাজগোজ করত, গহনা পরত, রুপোর বালা, মালা, চুরি, কানের দুল মেয়েদের খুবই প্রিয় ছিল। ফর্সা ও কালো রঙের মধ্যে পূজা-আর্চনাতে মেয়েদেরই একছত্র আধিপত্য ছিল। অশিক্ষিত ও গ্রাম্য মেয়েরাও অনেক সময় মুখে মুখে গান রচনা করে নিজেদের কবিশক্তির পরিচয় দিতেন। সমাজে বিধবাবিবাহের প্রচলন থাকলেও মেয়েদের স্থান খুব উঁচুতে ছিল না। বিধবাবিবাহের নামে মেয়েদের খুবই তুচ্ছ গ্রাহ্য করা হত। এই ব্যাপারটা অনেকটা বাজারে পণ্যদ্রব্য কেনাবেচার মতোই ছিল। বহুবিবাহের দৃষ্টান্ত সুপ্রচুর, তবে একপত্নীত্বই যে সুখী পরিবারের আদর্শ তা পুরুষেরা মেনে চলত।
সাধারণভাবে প্রাচীন ভারতবর্ষের অন্যত্র যেমন প্রাচীন উত্তরবাংলায়ও কন্যা বা স্ত্রী ছাড়া নারীদের ধনসম্পত্তিগত কোনো বিধিগত এবং ব্যক্তিগত অধিকার স্বীকৃত হত না। কিন্তু স্মৃতিকার জীমূতবাহন বিধান দিয়েছিলেন স্বামীর অবর্তমানে অপুত্রক বিধবা স্ত্রী, স্বামীর সমস্ত সম্পত্তিতে পূর্ণ অধিকারের দাবি করতে পারতেন। এই প্রসঙ্গে জীমূতবাহন অন্যান্য স্মৃতিকারদের বিরুদ্ধে মতামত পোষণ করেছেন এবং যারা বিধান দিয়েছেন যে, বিধবা স্ত্রী শুধু খোরাক-পোশাকের দাবি ছাড়া আর কিছু দাবি করতে পারেন না। তাদের বিধান সজোরে খণ্ডন করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এ কথাও বলছেন যে, সম্পত্তি বিক্রয়, বন্ধক বা দানে বিধবার কোনো অধিকার নেই এবং তিনি যদি যথার্থ বৈধব্য জীবনযাপন করেন তবেই স্বামীর সম্পত্তিতে তার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বিধবাকে আমৃত্যু স্বামীগৃহে তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে বসবাস করতে হবে। প্রসাধন-অলংকার-বিলাসবিহীন জীবনযাপন করতে হবে এবং স্বামীর পরলোকগত আত্মার কল্যাণে যেসব ক্রিয়াকর্মানুষ্ঠানের বিধান আছে তা পালন করতে হবে। প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য বিধবাদের মৎস্য, মাংস প্রভৃতি যে-কোন উত্তেজক খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।
প্রাচীন উত্তরবঙ্গের আদিবাসী সমাজের নারীদের রীতিনীতি কেমন ছিল, হাড়ি, ডোম, নিষাদ, শবর, পুলিন্দ, চন্ডাল প্রভৃতিদের বিবাহ ও যৌনজীবনের রীতিনীতি ও আদর্শ কী ছিল তা জানার জন্য আমাদের বর্তমান সাঁওতাল, কোল, হো, মুণ্ডা প্রভৃতিদের জীবনাদর্শের মধ্যে বিভিন্ন মিল খুঁজতে হবে। তাদের মধ্যে ব্রাহ্মণ্য আদর্শ স্বীকৃত ছিল না। আদিম সামাজিক আদর্শ ছিল পুরোপুরি নির্ভরশীল। এই স্তরে যৌনজীবনের আদর্শ ছিল অন্যমাপের এবং রীতিনীতিও ছিল অন্যস্তরের।
নারীদের মধ্যে শিল্পনৈপুণ্য থাকা সত্ত্বেও সমাজে নারীদের স্থান ততটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। সংসারে নারীদের বিবাহই হত যেন পুরুষকে সমৃদ্ধ করার জন্য অথবা তার সংসারের উন্নতিকল্পে। রাজবংশী লোকসংগীতে প্রতিফলিত নারী জীবনের আলোচনা প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে, সংগীতের অধিকাংশ স্থান জুড়ে রয়েছে নারীরা। ব্রতকথা, পূজা-অর্চনা, বিবাহ ইত্যাদিতে নারীদেরই মুখ্য ভূমিকা ছিল। পুরুষদেরই ছিল একছত্র আধিপত্য। তবে এ কথা সত্য পুরুষশাসিত সমাজে থেকেও নারীরা তাদের স্নেহ, দয়া, মায়া, ভালবাসা, কৌতুক ও হাসি-গানে সংসারকে ভরিয়ে রাখতেন। বিশেষভাবে কিছু অনুষ্ঠানে একান্তভাবে মেয়েদেরই অধিকার থাকত, নারীসমাজে তখনও শিক্ষার প্রসার – ঘটেনি, অর্থনৈতিক দুর্দশা ছিল চরমে তথাপি, নারীমনে দুর্দমনীয় ভালবাসা পুরুষ হৃদয়কে প্লাবিত করেছিল। ধোয়ীর ‘পবনদূত’ কাব্যে নারীদের প্রেমপত্র রচনার ইঙ্গিত আছে। নারীদের নানা কলাবিদ্যায় নিপুণতা অর্জন করতে হত। বিশেষভাবে নৃত্য, সংগীত ইত্যাদি। ব্রতকথাগুলির মধ্য দিয়ে প্রাচীন উত্তরবঙ্গের নারীদের জীবনযাত্রা, তাদের রসময় জীবন, কষ্ট, সংসার পরিচালনা প্রভৃতির অসাধারণ চিত্র ফুটে উঠেছিল। প্রশ্ন জগজীবনপুর মহাবিহার সম্পর্কে যা জানো লেখো। (Write what do you 7 know about Jagjjivanpur Mahavihara.)
উত্তর প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন বৌদ্ধ, জৈন ও অন্যান্য সাহিত্যগুলিতে পুণ্ড্রবর্ধন বৌদ্ধ ধর্মের একটি অন্যতম কেন্দ্ররূপে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমান মালদা জেলার হবিবপুর অঞ্চলের জগজ্জীবনপুর মহাবিহারটি আবিষ্কৃত হয়েছে। এই মহাবিহারটি পুনর্ভবা নদীর তীরে অবস্থিত। পূর্ব ভারতে পাল শাসকদের আমলে বাংলায় বিশেষ করে উত্তর বাংলায় বৌদ্ধধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটে। পাল রাজাদের পূর্বেও বাংলায় বৌদ্ধধর্মের অস্তিত্ব ছিল তা বিভিন্ন লেখ থেকে প্রমাণিত। নীহাররঞ্জন রায়-এর মতে, যে-কোনো পরম্পরাগত সমাজের সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যকলাপ চোখে পড়ে সেই সময়ের স্থাপত্য ও কলার মধ্যে দিয়ে। জগজ্জীবনপুর মহাবিহারও তারই প্রমাণ।
জগজ্জীবনপুর গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের মাধ্যমে পাঁচটি ঢিবি খননকার্যের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলি হল, তুলাভিটা যা শলাইডাঙা নামেও পরিচিত, আখরিডাঙা, নিমডাঙা, মাইভিটা, লক্ষীর ঢিবি। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি ছোটো ছোটো ঢিবি পাওয়া গেছে। এগুলির মধ্যে তুলাভিটা ঢিবি সবচেয়ে বড়ো এবং গুরুত্বপূর্ণ। জগজ্জীবনপুর নামের উৎস হল, বৈব্লব সন্ন্যাসী জগজ্জীবনের জন্মস্থান থেকে এই স্থানের নামকরণ হয়।
জগজ্জীবনপুর মহাবিহারের অন্তর্গত তুলাভিটা ঢিবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল শ্রী মহেন্দ্রপালদেবের উৎকীর্ণ একটি তাম্রশাসন। দেবপালের পুত্র ও উত্তরাধিকারী মহেন্দ্রপালের সপ্তম রাজত্ববর্ষে (আনুমানিক 854 খ্রিস্টাব্দে) পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তিতে অবস্থিত কুন্দল ঘটকের বিজয় উপলক্ষ্যে নন্দদীর্ঘিকা উদরঙ্গে মহাসেনাপতি বস্তুদেবের অনুরোধে একটি বিহার নির্মাণের অনুরোধ করেন। যেখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা বুদ্ধের উপাসনা করতে পারবে। এই ঢিবি থেকে একটি ব্রোঞ্জের ছোটো বুদ্ধমূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। মূর্তিটি ভূমিস্পর্শমুদ্রায় উপবিষ্ট।
জগজ্জীবনপুর বিহার থেকে ছ-টি ভিন্ন স্তরের নির্দেশ পাওয়া যায়, যার মধ্যে দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্তরটি গুরুত্বপূর্ণ। এই স্তরগুলি থেকে পাল পূর্ব যুগের কোনো নিদর্শন পাওয়া যায় না। এ ছাড়াও অন্যান্য বৌদ্ধ বিহারগুলির মতো এখানেও পোড়ামাটির অসংখ্য ফলক পাওয়া গেছে। শুধুমাত্র তুলাভিটা ঢিবি থেকেই প্রায় 250টি ফলক আবিষ্কৃত হয়েছে যেগুলি কাদামাটি ও অভ্রজাতীয় মিশ্রণে তৈরি এবং এই ফলকগুলি স্তূপের বাইরের দেয়াল সজ্জায় ব্যবহার করা হত। এই ফলকগুলির বেশিরভাগেরই মাপ প্রায় 28 cm x 24 cm x 7 cm-এর মধ্যে। পোড়ামাটির এই ফলকগুলিতে শিব, সূর্য, অবলোকিতেশ্বর, বিদ্যাধর, গন্ধর্ব, গরুড়, কিন্নর, যোদ্ধা, সিংহ, শূকর, হরিণ, ময়ূর এবং হাঁসের প্রতিকৃতি বিদ্যমান। এর মধ্যে একটি ফলকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল একটি গ্রন্থসহ ভক্তের প্রতিকৃতি।
মহাবিহারের প্রত্নতাত্ত্বিক সাক্ষ্য হিসেবে টেরাকোটা বা পোড়ামাটির সিলমোহরের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এই স্থান থেকে প্রাপ্ত বেশিরভাগ সিলমোহরই গোলাকৃতি এবং বিভিন্ন কিংবদন্তিসহ এক কিংবা দু-লাইনের বিবরণ রয়েছে। সিলমোহরগুলি দেখে আন্দাজ করা যায় যে, এগুলির প্রধানত প্রদানকৃত বা ভোটিভ প্রকৃতির। সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ সিলমোহরটির উপর খোদাই করা আছে একটি ধর্মচক্র, হরিণের প্রতিকৃতি এবং নীচের দিকে সিদ্ধমাতৃকা শৈলীতে সংস্কৃতে লেখা অনুবাদিত রূপ হল-“শ্রী বজ্রদেব বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর বসবাসের জন্য নন্দদীর্ঘিক মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন।”
জগজ্জীবনপুর মহাবিহার ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের খননকার্যের ফলে বাংলায় মূলত উত্তর বাংলায় বৌদ্ধধর্মের অবস্থান ও জনপ্রিয়তা সম্বন্দ্বে ধারণা সুস্পষ্ট হয়। এই স্থান থেকে প্রাপ্ত পোড়ামাটির ইটগুলির উপর বিভিন্ন কলাকৃতির ছাপ লক্ষণীয়। এ ছাড়াও পোড়ামাটির প্রদীপ, বালা, ছোটো হাতির মূর্তি ছাড়াও লাল ও ধূসর রঙের পাত্রও আবিষ্কৃত হয়েছে। একটি ব্রোঞ্জের মারিচি মূর্তি প্রাপ্ত হয়েছে। মহাবিহারের অন্যান্য প্রত্নস্থান, যেমন-আঘরিডাভা, নিমডাঙা, মাইঢিবি প্রভৃতি স্থানগুলি থেকে আন্দাজ করা যায় যে এই জায়গাগুলির বেশিরভাগই বসবাসের জন্য ব্যবহৃত হত। জগজ্জীবনপুর অঞ্চলের প্রত্নসাক্ষ্য থেকে উত্তর বাংলার বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মের সহাবস্থান ও অগ্রগতি সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।