‘নবান্ন’ নাটক, লেখক বিজন ভট্টাচার্য এবং নাটককর সান্তোষ ভট্টাচার্য দ্বারা লেখা এবং প্রথমবার ১৯৭৩ সালে একটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ‘নবান্ন’ নাটকটি বাংলা নাটকের ইতিহাসে একটি অভিনব এবং অসাধারণ নাটক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কারণ এটি নাটকে অসংখ্য সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যার প্রতি চিত্রনাট করে এবং নতুন ভাবে সমাজকে উৎসাহিত করে।
নবান্ন হচ্ছে বাংলা ভাষায় ‘নতুন বর্ষ’ বা ‘নতুন জীবন’ এর অর্থ। এই নাটকের মাধ্যমে লেখকদের উদ্দীপনা দেখানো হয়েছে সামাজিক অভিযান ও সমাজতান্ত্রিক চিন্তার দিকে। ‘নবান্ন’ এ একটি গ্রামের প্রজন্মের কথা বলা হয়েছে, এবং এটি প্রধানভাবে গ্রামীণ জীবন এবং মৌলিক সমস্যার দিকে মনোনিবেশ করে।
‘নবান্ন’ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
গ্রামীণ জীবন এবং সমস্যা: নাটকটি গ্রামীণ প্রজন্মের জীবন এবং তাদের সমস্যার দিকে মনোনিবেশ করে। গ্রামীণ জীবনের সমস্যাগুলি নাটকে মৌলিকভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যা: ‘নবান্ন’ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যার দিকে মনোনিবেশ করে, সেইসাথে প্রজন্মের ভূমিকা ও দায়িত্ববোধের প্রতি উৎসাহিত করে।
কর্মক্ষমতা ও স্বনির্ভরণ: নাটকটি কর্মক্ষমতা এবং স্বনির্ভরণের গুরুত্বপূর্ণ মূল্যে ভরা আছে। গ্রামীণ জীবনের সমস্যা সমাধানে উদ্বুদ্ধকর হতে হলে সম্ভাব্যতা আছে যেহেতু গ্রামীণ লোকজন একে অপরকে সাহায্য করতে পারে এবং নিজেদের কর্মক্ষমতা ও স্বনির্ভরণ বাড়াতে পারে।
‘নবান্ন’ এর মাধ্যমে বিজন ভট্টাচার্য এবং সান্তোষ ভট্টাচার্য একটি সৎ, সৎকরম ও নৈতিক জীবন বাড়াতে বলে দিয়েছেন। এই নাটকটি বাংলা নাটকের ইতিহাসে একটি মূল্যবান অধ্যায় হিসেবে পরিচিত এবং তার মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমস্যার প্রতি জনগণকে উৎসাহিত করা হয়েছে।