“মরীচিকা” (১৯২৩) –
যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের প্রথম প্রকাশিত এবং শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ।
এই কাব্যগ্রন্থ টি তিনি উৎসর্গ করেন যতীন্দ্রমোহন বাগচী কে।
কাব্যগ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ৪৭ টি।
কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা “বহ্নিস্তুতি” এবং শেষ কবিতা টি হল “আহুতি”।
এই কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কবিতা “শিবের গাজন”, “মানুষ”, “হাট”, “আবেদন”, “বারনারী”, “চাষার বেগার” প্রভৃতি।
“মরুশিখা” (১৯২৭):
দ্বিতীয় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
এই কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা “শিবস্তোত্র” এবং শেষ কবিতা “গঙ্গাস্তোত্র”।
কাব্যগ্রন্থ টি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত উৎসর্গ করেন যতীন্দ্রমোহন বাগচী কে।
এই কাব্যগ্রন্থের মোট কবিতা সংখ্যা ৪১ টি।
“মরুমায়া” (১৯৩০):
কাব্যগ্রন্থ টি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত উৎসর্গ করেন স্ত্রী শ্রীমতি জ্যোতি দেবী কে।
কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা “অন্বেষণ” এবং শেষ কবিতা “দীপ পতঙ্গ”।
“মরুমায়া” কাব্যের বিখ্যাত কবিতা “নবান্ন” কবিতাটি নবান্ন উৎসব কে কেন্দ্র করে কবি নিজেকে কৃষকের ভূমিকায় রেখে যে দুঃখজনক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তাই ‘বন্ধুরূপী’ ঈশ্বরকে ব্যক্ত করেছেন। কবিতাটি ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে রচিত।
একনজরে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত:
• যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রবীন্দ্র যুগের প্রথম বিদ্রোহী কবি। ‘দুঃখবাদী কবি’ নামেও তিনি পরিচিত।
• বাংলা সাহিত্যের প্রথম ‘ইঞ্জিনীয়র কবি’ যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত।