“শাশ্বতী” কবিতা সুকান্ত ভট্টাচার্যের একটি অমূল্যবান রচনা, যা বিভিন্ন মাধ্যমে মোক্ষ বা অমরতা নিয়ে বিচার করে। এই কবিতার নামকরণ ও সার্থকতা একইসঙ্গে কবিতার মূল বার্তার সাথে যুক্তি করে।
কবিতার নাম “শাশ্বতী” অভিজ্ঞান ও অনুভূতির বৃহৎ ক্ষেত্রে একটি পরিপ্রেক্ষ্য প্রদান করে। “শাশ্বতী” শব্দটি সমাপন, সুস্থিতি, অমরতা ইত্যাদি অর্থ ধারণ করে এবং কবিতার মাধ্যমে এই শব্দটির বিভিন্ন দিকে অনুসন্ধান হয়। কবি এখানে মোক্ষের অনুভূতির দিকে কল্পনা করে এবং তার মূল্যবান বিচারণা কে কবিতার মাধ্যমে অভিজ্ঞান করার চেষ্টা করেন।
কবি তার কবিতায় মোক্ষের দিকে একটি অদ্ভুত চিত্র বিক্ষেপ করেন, যেখানে সময়, ক্ষণ, এবং মৃত্যুর বৃহৎ দিকটি উল্লেখ করা হয়। কবি মৃত্যুর দিকে হাস্যকর এবং উদার দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে চায়, যেখানে মৃত্যু একটি নতুন জীবনের প্রারম্ভ হতে পারে। এটি একটি অতীতের চোখ দ্বারা মোক্ষের দিকে একটি সূচনা হতে পারে, যেটি প্রাণীর অমরতা এবং জীবনের অব্যক্ত আদির দিকে মুখরূপ হতে পারে।
কবি মোক্ষের দিকে একটি সম্ভাসিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে, যেখানে মোক্ষ সময়, অবস্থা এবং প্রকৃতির সাথে একটি আন্তরিক যোগাযোগ হতে পারে। এটি একটি নতুন আবেগ এবং জীবনের উজ্জ্বল দিকে দেখতে সহায় করতে পারে, তাদের নতুন জীবনের দিকে একটি মার্গ দেখাতে সহায় করতে পারে, এবং প্রাণীদের জীবনের একটি অমর দিকে মুক্তির দিকে দেখতে সহায় করতে পারে।
সুকান্ত ভট্টাচার্যের “শাশ্বতী” কবিতা একটি অমূল্যবান কবিতার নাম, যা মোক্ষ এবং অমরতা নিয়ে একটি অদ্ভুত এবং সুন্দর চিত্র তৈরি করে।
৫। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় কবি অস্তিত্বের সংকটের কথা কীভাবে তুলে ধরেছেন তা নিজের ভাষায় আলোচনা করুন।
ANS- শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের “অবনী বাড়ি আছো” কবিতায় তিনি অস্তিত্বের সংকটের চিন্তা নিয়ে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে অমুক ভাবে আলোচনা করেছেন। এই কবিতায় অস্তিত্ব, নির্বিকার, এবং আত্মমুক্তির সঙ্গে জড়িত বিচ্ছিন্নতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
কবিতার শিরোনাম “অবনী বাড়ি আছো” মূলত একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞানের আলোকে উঠছে, যা অস্তিত্ব এবং আত্মমুক্তির জন্য অস্তিত্বের সংকটের মধ্যে একটি চিত্র তৈরি করে। কবি তার অস্তিত্ব এবং মুক্তির প্রতি উদাসীন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেন, তাতে সমাজ এবং ব্যক্তিগত পরিপর্কতা ও সামাজিক চুক্তির বিষয়ে চিন্তা করতে পারি।
কবি তার বাড়িতে থাকা অবনীর মধ্যে অস্তিত্ব এবং স্বাধীনতা পেতে এবং সমাজ ও ব্যক্তিত্বের জন্য যোগদান করতে চায়, কিন্তু তার মনে হয় যে সমাজ এবং অস্তিত্ব একে অপরকে আদান-প্রদানের বিকল্প দেয়নি। এই বাধাগ্রস্ত বাস্তবতায় কবি তার অস্তিত্ব এবং স্বাধীনতা প্রতি তার অবিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ দেখাচ্ছে।
কবি একধরনে নিজেকে বাড়িতে বাড়িতে একক হওয়ার প্রতি আত্মমুক্তির দরকার সুস্পষ্টভাবে অনুভব করেন, যাতে সে তার নিজের পথে চলতে পারে এবং সমাজের শক্তিশালী সাম্রাজ্যের সাথে স্বাধীনভাবে মোক্ষ পাতায়। তিনি একইসঙ্গে সমাজের জীবনযাত্রা, দৈহিক এবং মানসিক বাধাবাড়ি, এবং একক ব্যক্তির সামাজিক যোগদানের জন্য কোনও নির্দিষ্ট পথ বা নীতি হিসেবে কোনও ব্যক্তিত্ববাদী প্রতিষ্ঠান অথবা সাম্রাজ্যের সাথে সম্বৰ্থিত হতে নানা সময়ের কবলিতা অনুভব করেন।
“অবনী বাড়ি আছো” হলো একটি সুন্দর এবং জটিল কবিতা, যেটি অস্তিত্ব এবং স্বাধীনতার বিভিন্ন দিকে প্রতিক্রিয়া দেয়ে। কবি তার কবিতায় সামাজিক কাঠিন্য, আত্মনির্ভরশীলতা, এবং অস্তিত্বের মধ্যে কোনও নির্দিষ্ট সীমা বা পরীক্ষা কে স্পষ্ট ভাবে উজ্জ্বল করেন।
কবিতার চেয়েছে পার্বত্য অবস্থা এবং অস্তিত্বের অপরিসীম প্রকাশ আছে, এবং তাতে আত্মনির্ভরশীলতা এবং স্বাধীনতার প্রশিক্ষণ পাওয়া হয়েছে। শব্দগুলি ভূমির সাথে সম্পর্কিত এবং এটি একটি উজ্জ্বল এবং চিত্রময় ছবি তৈরি করে, এটি কোনও কবিতায় এবং তার উদ্দীপক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে সাহায্য করে।
কবি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে তার মূল বাসভবন “অবনী বাড়ি” এর চিত্রণ করেন, যেটি সমৃদ্ধি, প্রকৃতি, এবং একক অবস্থানের মোক্ষের সাথে জড়িত দেখানো হয়। কবি তার অবনীর বাড়ির চারদিক বাঁধলে আসা জীবন এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উল্লেখ করেন, এবং সেই সৌন্দর্যের মাধ্যমে তার মনোভাব ও ভাবনা প্রকাশ পান।
তার অবনীর বাড়ি হলো একটি আধুনিক বৃদ্ধি পাওয়া শহরের সাথে সমরস করা এবং তার অবস্থানের স্থানে একটি সান্নিধ্যবত্তা স্থাপনে তার মহান বিচারের প্রতি প্রতিবাদ সাধায়।
কবি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে তার বাড়ির আত্মকথন করেন, তার ভবিষ্যতের স্থিতির কল্পনা করেন এবং কিছুটা বিরক্তিতে পৌঁছানোর জন্য স্বপ্ন দেখেন। তার বাড়ি তার একক অবস্থানের আবেগ এবং অতিরিক্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার বোধগম্য হয়ে ওঠে, যা তাকে একটি স্বতন্ত্র, আত্মনির্ভরশীল, এবং আত্মমুক্ত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার উদ্দীপক দৃষ্টিভঙ্গি দেয়।
“অবনী বাড়ি আছো” হলো একটি আত্মনির্ভরশীল, স্বাধীন, এবং সমৃদ্ধির পথে একক ব্যক্তির বৃদ্ধির গল্প, যা সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রশ্নের সাথে তার নিজের অভিজ্ঞান এবং উদ্দীপক দৃষ্টিভঙ্গি দেখায়।