“সৎইচ্ছা স্বভাবতই সৎ” একটি পরিভাষার বাক্য, যা বাঙালি সংস্কৃতিতে অনেকটা “সত্যই চাইতে চাইতেই সত্য” বা “যে কেউ যেই চায় তা সত্যের দিকেই যায়” বোঝায়। এই বাক্যটি অত্যন্ত গভীর এবং মানব বোধশক্তির সঙ্গে যুক্ত একটি অমূল্য প্রবৃত্তি ব্যক্ত করে। এটি বোঝায় যে, যে কেউ যা চায় তা যদি তার সত্য প্রকাশ করা বা পূর্ণ করা থাকে, তার ইচ্ছা সত্যের দিকে তাকিয়ে যায়।
“সৎইচ্ছা স্বভাবতই সৎ”- ব্যাখ্যা:
১. ব্যক্তিগত ইচ্ছা:
এই বাক্যে বলা হয়েছে যে, ব্যক্তির ইচ্ছা যে কোন সময় তার কোনও কাজে সকারাত্মক দিকে থাকতে পারে। এটি যেটি চায়, সেটি তার সত্যকে নিয়ে তার চিন্তা এবং কার্যকলাপে প্রতিফলন হতে পারে। ব্যক্তি যে কোন সময় সত্যের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং তার ইচ্ছা সত্যের দিকে এগিয়ে যাতে তার ব্যক্তিগত বা পেশাদার জীবনে উন্নতি হতে পারে।
২. সত্যের দিকে চলা:
এই বাক্যের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে, যে কেউ তার ইচ্ছা সত্যের দিকে রূপান্তর করলে, তার জীবন এবং পূর্ণ বা সংসারে একটি উন্নত দিকে সোচার হতে পারে। সত্য তার জীবনে একটি নতুন দিকে নিয়ে যায় এবং তার চেষ্টা এবং প্রচেষ্টা সঠিক দিকে যায়।
৩. মূল্যবান প্রবৃত্তি:
এই বাক্যটি যেমন বলছে যে, সৎইচ্ছা স্বভাবতই সৎ, তাতে একটি মূল্যবান প্রবৃত্তি তৈরি হতে পারে। এই মূল্যবান প্রবৃত্তির সাথে সোচার এবং আত্মউন্নতির দিকে যাওয়া যেতে পারে, যা তার স্বয়ংক্রিয়া এবং সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে।
এই উক্তি বলছে যে, যে কেউ যেই চায় তা সত্যের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার জীবনে এবং সমাজে একটি বৃদ্ধি হতে পারে। এটি প্রতিবাদগুলি থেকে বেরিয়ে আসে এবং নিজেকে উন্নত করার মাধ্যমে আত্মসমৃদ্ধি এবং উন্নত জীবনে যাওয়ার একটি উপায় হতে পারে।