মৃৎশিল্পে হরল্লাবাসীরা যথেষ্ট পারদর্শী ছিল। তারা মাটির কলশি, জালা,। থালা, বাটি ও খেলনা তৈরি করত। সেগুলি আবার আগুনে পুড়িয়ে মজবুত করা হত। পরে তাতে রং ব্যবহার করা হত। সিন্দু অধিবাসীরা পোড়ামাটির পাত্রের গায়ে সাধারণত কালো রং ব্যবহার করত। চকচকে ও মসৃণ সুন্দর সুন্দর চিনামাটির পাত্র ত নির্মাণে মৃৎশিল্পীরা দক্ষ ছিল। পোড়ামাটির সিলমোহর তৈরিতে তারা অভ্যস্ত ছিল।
মহেন-জো-দারোতে প্রাপ্ত সীলমোহরে ষাঁড়ের মূর্তি তাদের জীবনযাত্রায় শিল্পভাবনার পরিচয় বহন করে। পোড়ামাটির কাজে তাদের জীবনযাত্রায় ব্যবহৃত জিনিসপত্রের চিত্র এবং সামাজিক প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে হরপ্পার মূর্তিগুলি মহেন-জো-দারোর মূর্তি অপেক্ষা অনেক সুগঠিত ও সমৃদ্ধ ছিল। হরপ্পার মূর্তিতে মানুষ, বাঘ, গন্ডার, পাখি এবং খেলনার প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। এ ছাড়া হাতির দাঁতের বিভিন্ন সামগ্রী নির্মাণ শিল্পে তারা নিযুক্ত ছিল।